নগদ অর্থ ওতপ্রতোভাবে ব্যবসায় সঙ্গে জড়িত। ব্যবসায়ের প্রতিটি ক্ষেত্রে নগদ অর্থের প্রয়োজন হয়। সম্পদ কেনা বেচা, পণ্য কেনা বেচা, পাওনা আদায় ও দেনা পরিশোধ, খরচ ও আয় সঠিক সময়ে পরিশোধ ও আদায়সহ দেশের সার্বিক কাজ পরিচালনায় নগদ অর্থের যথাযথ ব্যবস্থাপনা ও সরবরাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে।
নগদান বই |
তাছাড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আয়তন ও প্রকৃতি অনুযায়ী নগদান বই প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। ব্যবসায়ের আয়তন ও নিরাপত্তা বিবেচনা করে নগদ অর্থ আদান প্রদানে ব্যাংক সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পাদিত লেনদেনের লিপিবদ্ধকরণ ও ব্যাংকে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ নির্ণয়ে ব্যবসায়ের কার্যক্রমকে সচল করে রাখে।
নগদান বই কি?
সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুসারে নগদ টাকা পয়সার প্রাপ্তি ও পরিশোধ হিসাব রাখার পদ্ধতিই হল নগদান বই।নগদান বই কাকে বলে?
যে বইতে নগদ টাকা পয়সার আগমন নির্গমন রাখা হয় তাকে নগদান বই বলে। প্রতিষ্ঠানের নগদ লেনদেনগুলো যে হিসাব বইতে লিপিবদ্ধ করা হয় তাকে নগদান বই বলে। নগদান বইকে অভিহিত করা হয় ক্যাশবুক, নগদ প্রাপ্তি ও প্রদান হিসাবের বই, ক্যাশ রেজিস্ট্রার, জাবেদা ও খতিয়ান উভয়ই ইত্যাদি নামে।নগদান বই এর ধারণা?
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে অসংখ্য লেনদেন নিয়মিত সংঘটিত হয়ে থাকে। আর লেনদেনসমূহকে আমরা নির্দিষ্ট একটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে দুই ভাগে ভাগ করতে পারি। মানদণ্ডটি হচ্ছে নগদ অর্থ। লেনদেনের সাথে নগদ অর্থের সম্পৃক্ততা থাকা এবং না থাকা বিষয়টি জড়িত থাকে।যে সকল লেনদেনের দ্বারা নগদ অর্থের প্রাপ্তি ও প্রদান ঘটে এবং ঐ সকল লেনদেনসমূহ একত্রিত করে যে বই প্রস্তুত করা হয় তাকে নগদান বই বলে। নগদান বই হচ্ছে হিসাবের প্রাথমিক বই৷ জাবেদার একটি অন্যতম শাখা হল নগদান বই। যেমনঃ
- নগদে পণ্য ক্রয় ১০,০০০ টাকা।
- বিলের অর্থ নগদে পরিশোধ ৭,০০০ টাকা।
- নগদে পণ্য বিক্রয় ২০,০০০ টাকা।
- নগদে আসবাবপত্র ক্রয় ৪০,০০০ টাকা।
- দেনাদার হতে নগদ প্রাপ্তি ১২,০০০ টাকা।
- মালিক কর্তৃক নগদ অর্থ উত্তোলন ৮,০০০ টাকা ইত্যাদি।