রাবার কি | রাবার কত প্রকার | রাবার চাষ কোথায় বেশি হয়

রাবার কি?

রাবার হল এক ধরনের হাইড্রোকার্বন পলিমার। বৃক্ষের রসকে রাবার ল্যাটেক্স বলে। আর এই ল্যাটেক্স তঞ্চন করে প্রাকৃতিক রাবার পাওয়া যায়। এই ল্যাটেক্স রাবার ইমালসন অবস্থায় প্রলম্বিত থাকে। এই ল্যাটেক্স এ পানি ও এসিটিক এসিড যোগ করলে তঞ্চনের ফলে রাবার অধঃক্ষিপ্ত হয়ে থাকে। 

রাবার
রাবার

জমানো অবস্থায় রোলের দ্বারা প্রয়োজনীয় আকার দিয়ে শুকানো হয়। এরপরে ধূম ঘরে ৭২ ঘন্টা অগ্নিতাপে রেখে Ribbed Smoke Sheet (RSS) তৈরী করা হয়। আর এই RSS হল রাবার শিল্পের কাঁচামাল।

রাবার ফাইবার কি?

রাবার হচ্ছে এক প্রকার ইলাস্টিক। যা ইনসুলেটিং অপরিমেয় ও বায়ু উপাদান। ইহা উচ্চ ইলাস্টিক পলিমার যৌগ। যা ক্ষীরটিকে শক্ত করে এবং শুকিয়ে তৈরি করা হয়।

গাছে যখন রাবার কাটা হয় তখন রাবার গাছের রস প্রবাহিত হয়। রাবার ফাইবার খুবই জনপ্রিয় একটি ফাইবার। বর্তমান বাজারে রাবারের চাহিদা অধিক। 

রাবার কত প্রকার ও কি কি?

রাবার দুই প্রকারঃ 
  • প্রাকৃতিক রাবার
  • কৃত্রিম রাবার

প্রাকৃতিক রাবার কি?

রাবার গাছ থেকে রাবার সংগ্রহ করার পর বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাকৃতিক রাবার ফাইবারে তৈরি করা হয়। প্রাকৃতিক রাবার জৈব যৌগ আইসোপ্রিনের একটি পলিমার। যা প্রকৃতিতে রাবার গাছের সাদা, ঘন ও আঠালো তরল নিঃসরণ হিসেবে আহরণ করা হয়ে থাকে। রাবারের সাথে সামান্য পরিমাণে অন্যান্য জৈব যৌগ মিশে থাকতে পারে। 

এছাড়াও এতে পানিও থাকে। রবার গাছের বাকল কেটে পাত্রে সাহায্যে রাবারের নির্যাস সংগ্রহ করা হয়। এরপর এই নির্যাসকে পরিশোধিত করে বাণিজ্যিক প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে রাবার প্রস্তুত করা হয়। তাছাড়া রাবার হল অত্যন্ত প্রসারণক্ষম, স্থিতিস্থাপক ও জলনিরোধী বলে ইহাকে বহু ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া হল সর্বাধিক পরিমাণে প্রাকৃতিক রবার উৎপাদনকারী দুইটি দেশ।

কৃত্রিম রাবার কি?

বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের বিক্রিয়া ঘটিয়ে সুতার মতো রাবার ফাইবার তৈরি করা হয়। কৃত্রিম রাবার ফাইবার বেশি ব্যবহার করা হয়। রাবার ফাইবার ইলাস্টিক কাপড় তৈরি করার ক্ষেত্রে তৈরি করা হয়।

রাবারের ভৌত ধর্ম?

  • রাবার সাদা কিংবা হালকা বাদামি বর্ণের হয়ে থাকে।
  • রাবার হল বিদ্যুৎ ও তাপ অপরিবাহী।
  • ইহা একটি স্থিতিস্থাপক পদার্থ।
  • রাবার সাধারণত পানিতে অদ্রবণীয় হয়।
  • বেশির ভাগ রাবার তাপের মধ্যে গলে যায়।

রাবারের রাসায়নিক ধর্ম?

  • রাবার দুর্বল ক্ষার, এসিড, পানি ইত্যাদির সাথে বিক্রিয়া করে না। এজন্য রাবারকে প্রলেপ দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়।
  • তাপে প্রায় সব পদার্থের আয়তন বাড়লেও রাবারের আয়তন কমে যায়।
  • রাবারকে দীর্ঘদিন রেখে দিলে তা বাতাসের অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে থাকে। যার ফলে তা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়।
  • রাবারের ব্যবহার?
  • অস্ত্রোপচারের দস্তানা, বেলুন দ্রব্যাদি প্রস্তুতিতে ব্যবহার করা যায়।

রাবার প্রস্তুতির প্রক্রিয়াকে কি বলে?

রাবার প্রস্তুতির প্রক্রিয়াকে ভালকানাইজেশন বলে।

রাবার চাষ কোথায় বেশি হয়?

রাবার বৃহত্তর চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বেশি চাষ হয়।
Textile BD

Founder and Editor of Textile BD. He is a Textile Blogger & Entrepreneur. He is working as a textile job in Bangladeshi companies.

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন