ওভেন ফেব্রিকের প্রডাকশন প্রসেস?

ওভেন ফেব্রিকে আপনি যদি সঠিক নিয়ম না মেনে উৎপাদন শুরু করেন। তাহলে প্রোডাকশন রানিং হওয়ার পর আপনি নানা রকমের সমস্যার সম্মূখীন হতে পারেন। তবে নিচের নিয়মগুলো মেনে উৎপাদন শুরু করলে মিনিমাম ৯০-৯৫% সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

যে সুইং লাইনে প্রোডাকশন প্লান করা হয়েছে, আর ঐ সকল লাইন থেকে সাইজ সেট তৈরি করতে হবে। তাহলে সংশ্লিষ্ট সুপার ভাইজার, কোয়ালিটি কন্ট্রোলারগণ, লাইনচীফগন পূর্বেই ঐ স্টাইল সম্পর্ক একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। খুব সতর্কতার সাথে সাইজ সেট রিভিও করতে হবে ও কারেকশন গুলো সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করে নিতে হবে।

উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করার আগে অবশ্যই পি. পি. মিটিং করতে হবে। আর পি. পি. মিটিং এ সকল ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রতিনিধিগণ উপস্থিত থাকবে। এছাড়াও পি. পি. মিটিং এ সব কিছু খোলামেলাভাবে আলোচনা করতে হবে ও সব কিছু রেকর্ড করে রাখতে হবে। পি. পি. মিটিং এ যদি সাইজ সেট গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে উৎপাদন শুরু করার জন্য পাইলট রান করার প্রস্তুতি নিতে হবে। 

ওভেন ফেব্রিকের প্রডাকশন প্রসেস?
ওভেন ফেব্রিকের প্রডাকশন প্রসেস

পাইলট রান হিসেবে ৩৫০-৫০০ পিস বডি সেলাই করার জন্য কাপড় কেটে সুইং লাইনে লে-আউট করতে হবে। খুব সতর্ককতা সাথে সুইং লে-আউট করতে হবে। লে-আউট করার সময় সম্পর্কযুক্ত সকল ডিপার্টমেন্টের লোকজন সাথে রাখতে হবে। এবং প্রতিটি প্রসেসের অপারেটরকে তার প্রসেস অনুযায়ী ট্রেনিং করাতে হবে। এর সাথে সাথে যে ফেব্রিক রোল থেকে পাইলট রানের জন্য কাপড় কাটা হয়েছে ঐখান থেকে স্রিঙ্কেজ টেস্ট করার জন্য নিয়ম অনুযায়ী একটা কাট পিস স্রিঙ্কেজ মার্ক করে রাখেতে হবে।

প্রথম আউটপুট থেকে একটা সাইজ সেট নিয়ে ভালভাবে মেজারমেন্ট করে গার্মেন্টসগুলো সুতা কিংবা রশি দিয়ে বেধে মার্ক করতে হবে। মার্ক করা সাইজ সেট ও স্রিঙ্কেজের কাটপিস সহ মোট ১০০ পিছের একটা ব্যাচ ওয়াশিং সেকশনে পাঠিয়ে বায়ারের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী ওয়াশ করাতে হবে।

ওয়াশ করা ১০০ পিস গার্মেন্টস ওয়াশিং কিউসি দিয়ে খুব ভালভাবে পিস টু পিস চেক করতে হবে। এবং যে সকল সমস্যা পাওয়া যায় তা লিপিবদ্ধ করে তার উপরে কারেকটিভ অ্যাকশান নিতে হবে। এরপর মার্ক করা সেই সাইজ সেট এবং স্রিঙ্কেজ টেস্ট করার জন্য সেই কাটপিস উৎপাদন ফেক্টরিতে আলাদা করে পাঠাতে হবে।

মার্ক করা সাইজ সেট নিয়ে ফিনিসিং কিউ. সি. প্রাথমিক ফিনিসিং প্রসেস শেষ করে। এরপর আয়রন করার আগে সেই সাইজ সেটের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো মেজারমেন্ট করে নিতে হবে। আয়রন করে কতটুকু মেজারমেন্ট কভার করা যায় তার ধারনা পাওয়ার জন্য এই পদ্ধতি করা হয়। এরপর স্বাভাবিকভাবে আয়রন করে ২ ঘন্টা রিলেক্সজেশনে রাখতে হয়।

দুই ঘন্টা পরে সকল মেজারমেন্ট পয়েন্ট সতর্কতার সাথে মেপে রেকর্ড করতে হবে। এবং সেই স্রিঙ্কেজ চেক করার কাট পিসের স্রিঙ্কেজ মেপে ক্রস চেক করতে হবে যে কাটিং থেকে নির্ধারন করার স্রিঙ্কেজ সঠিক কি না। কারণ যদি কাটিং ডিপার্টমেন্ট কোন কারণে ভূল স্রিঙ্কেজ দেয়, তাহলে আজীবনেও পোশাকের মেজারমেন্ট সঠিক হবে না।

এরপর সকল লেভেল এবং ট্যাগ লাগাতে হবে। এর মানে হল অনুসাঙ্গিক ফিনিসিং এক্সোসরিজ লাগিয়ে কমপ্লিট করে নিতে হবে। উপরের সকল প্রসেস শেষ করার পরে মার্ক করা সাইজ সেটটি সকল মেজারমেন্ট রিপোর্টসহ কোয়ালিটি ম্যানেজার ও জিএম এর কাছে পাঠাতে।

জিএম কিংবা ম্যানেজার যদি কোন কারেকশন দেয়ার প্রয়োজন মনে করেন। তাহলে তা করে নিয়ে মূল উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। আর ঠিক এই সময়ের মধ্যে যদি সুইং লাইন ফাকা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা হয় কিংবা লাইনে ফিডিং করানোর প্রয়োজন পড়ে। তাহলে কোয়ালিটি জিএম আরও ৫০০ পিস পোশাক কাটার অনুমতি দিতে পারেন। যদি না প্রথম সাইজ সেটে বেশী ক্রিটিক্যাল কোন কারেকশান না থাকে।

প্রথমত পাইলট রানে যদি অপেক্ষাকৃত বেশী কারেকশান প্রয়োজন পড়ে। তাহল দ্বিতীয় পাইলট রান হিসাবে ৫০০ পিসের জন্য কাপড় কাটতে হবে। ও হাতে হাতে আরও একটা সাইজ সেট বের করে নিশ্চিত হতে হবে যে কারেকশান ঠিক হয়েছে কি না তা যাচাই বাছাই করা।

Textile BD

Founder and Editor of Textile BD. He is a Textile Blogger & Entrepreneur. He is working as a textile job in Bangladeshi companies.

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন