মানুষের চেহারায় ভিন্ন কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে৷ একজনের চেহারার সাথে আরেকজনের চোহারা মিলে না৷ যে বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে মানুষের মুখের জ্যামিতিক আকার ও গঠনকে পরীক্ষা করে উক্ত ব্যক্তিকে অদ্বিতীয়ভাবে শনাক্ত করা হয় তাকে ফেইস রিকগনিশন সিস্টেম বলে৷
ফেইস রিকগনিশন |
ফেইস রিকগনিশন যেভাবে কাজ করে?
ফেইস রিকগনিশন পদ্ধতিতে একটি সাধারণ ডিজিটাল ক্যামেরার সামনে মাত্র কয়েক সেকেন্ড দাঁড়ালে এটি ঐ ব্যক্তির মুখের একটি ইমেজ নিয়ে তা সংযুক্ত কম্পিউটারে প্রেরণ করে৷কম্পিউটার কেবল ঐ মুখের কিছু নির্দিষ্ট বিষয় যেমনঃ চোখ, মুখ ও নাকের দূরত্ব, এদের অবস্থান ইত্যাদি ডেটা নিয়ে একটি নিউমেরিক কোড তৈরি করে৷
অতঃপর প্রাপ্ত নিউমেরিক ডেটাকে পূর্বে ঐ ব্যক্তির ফেস থেকে জেনারেট করা নিউমেরিক কোডের সাথে মিলিয়ে ব্যক্তিটিকে অদ্বিতীয়ভাবে শনাক্ত করা হয়৷
এটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতির মতোই প্রায় শতভাগ সফলতা প্রদান করতে সক্ষম হয় এবং তা সর্বোচ্চ ৫ সেকেন্ডের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে থাকে৷ এক্ষেত্রে মুখে ময়লা বা ঘাম ইত্যাদি থাকলেও তা শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে কোন ব্যাঘাত ঘটাতে পারে না৷
ফেইস রিকগনিশন বায়োমেট্রিক্সের সুবিধা?
- অনধিকার প্রবেশমূলক নয়৷
- তুলনামূলক সস্তা প্রযুক্তি৷
ফেইস রিকগনিশন বায়োমেট্রিক্সের অসুবিধা?
- মুখে আলোর প্রতিফলন ঘটলে মাঝে মাঝে এ সিস্টেমটি মুখমণ্ডল চিনতে পারে না৷
- পিসিতে ওয়েব ক্যামেরা বিল্ট ইন না থাকায় এ প্রযুক্তিটি এখনো ততটা জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারে না।
- চোখের সানগ্লাস পরা থাকলে মুখমণ্ডল চিনতে অসুবিধা দেখা দেয়৷
ফেইস রিকগনিশনের ব্যবহার?
- অধিকাংশ পার্সোনাল ডিভাইসে (যেমনঃ স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ট্যাব প্রভৃতি) এখন বিল্ট ইন ফেস ক্যামেরা থাকায় এই সকল ডিভাইস অ্যাক্সেস বা অথেনটিকেশন এখন ফেইস রিকগনিশনে ব্যবহৃত হয়ে থাকে৷
- ডিজিটাল ডেটার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ফেইস রিকগনিশন সিস্টেম ব্যবহৃত হয়ে থাকে৷
- স্মার্ট অ্যাডভার্টাইজিং বয়স অনুযায়ী অ্যাড মার্কেটিং গ্রুপ নির্ধারণে ফেইস রিকগনিশন সিস্টেম ব্যবহৃত হয়ে থাকে৷